রাতদিন ওয়েবডেস্ক - মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন ভুল নিয়ে আর দৌড়ঝাঁপ নয়। পর্ষদ চালু করেছে নতুন পোর্টাল, ছাত্রছাত্রী নিজের তথ্য যাচাই করবে। ভুল থাকলে অনলাইনেই আবেদন, স্কুল তা দেখে নথি যাচাই করবে। পর্ষদে ফাইল যাবে, নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সংশোধন হবে দ্রুত। শেষ মুহূর্তের আতঙ্ক কমবে, পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণেও সুবিধা হবে যথেষ্ট।এই প্রক্রিয়ার জানালা এখন খোলা, সময়সীমা আট দিন রাখা হয়েছে। আঠারো সেপ্টেম্বর শুরু, পঁচিশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাচাই করতে হবে। দেরি করলে সুযোগ থাকবে না, সময়মতো কাজ করাই বুদ্ধিমানের। স্কুলগুলিরও সময় লাগে, তাই আগে করা ভাল হবে।পোর্টালটি ছাত্রদের জন্য আলাদা, ঠিকানা students.wbbsedata.com । লগইনের জন্য তিনটি তথ্য লাগবে, নাম, স্কুল ইনডেক্স, জন্মতারিখ। তারিখের ফর্ম্যাট ডিডিমিমাই, তিনটি দিলেই ড্যাশবোর্ড খুলবে।
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে যা আছে তাই মিলিয়ে দেখুন একবার। নাম সঠিক কি না দেখুন, বাবা-মায়ের নামও মিলিয়ে নিন। জন্মতারিখ মিলছে কি না দেখুন, বিষয় সংযোজনও যাচাই করুন। ভুল থাকলে অনলাইনেই আবেদন দেখাবে, আবেদন জমা দিন। জমার পর স্কুলে নথি দিন, দুই ধাপেই কাজ সম্পূর্ণ হবে।অনলাইনে আবেদন করার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নথি জোগাড় করুন। জন্ম সনদ, ভর্তি রেজিস্টার, আগের সার্টিফিকেটের কপি রাখুন। প্রয়োজনে শপথনামা লাগতে পারে, স্কুল হেডের সই দরকার। ডি আই অফিসের কাউন্টার সিগনেচার দরকার হতে পারে। নথি ঠিকঠাক রাখুন, ভুল হলে আবেদন ঝুলে যাবে।
স্কুল ড্যাশবোর্ডে সব আবেদন দেখা যাবে, যাচাই করে পাঠাবে। ফি সহ নথি পাঠাবে, পর্ষদ সেগুলি প্রক্রিয়ায় নেবে। নাম সংশোধনে এক রকম ফি, বয়সে আলাদা ফি ধার্য। পুরনো নিয়মও রয়েছে, নতুন জানালা শুধু প্রক্রিয়াকে সচল করছে।গত বছর শেষ মুহূর্তে জরিমানা দিয়ে সংশোধন হয়েছিল। এই বছর আগাম যাচাইয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে পর্ষদের তরফে। লক্ষ্য ভুলকে আগে ধরার সুযোগ, পরীক্ষাপূর্ব চাপ কমানো। লক্ষ্য নথি নিখুঁত করা, ছাত্রদের ভয় কমবে এবার। স্কুলের চাপ কমবে, পর্ষদের কাজও সময়মতো হবে।
ভুলের দায়ে পরীক্ষা বাতিলের ভয় নেই, তবে সতর্ক হোন। ভুল থাকলে দ্রুত জানাতে হবে, সময়সীমা মানতে হবে। নথি প্রমাণ দেখাতে হবে, স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। অনলাইনে আবেদন করে বসে থাকবেন না, স্কুলে নথি দিন। আবেদন ঝুলে যাবে, দুই ধাপই জরুরি বলে জানাচ্ছে পর্ষদ।কোন কোন তথ্য বদলানো যাবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। নাম, অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, বিষয় সংযোজন সংশোধনযোগ্য। তবে যুক্তি দেখাতে হবে, নথি মিলাতে হবে যথাযথভাবে। নিয়ম মানতেই হবে, ভুল তথ্য দিলে আবেদন নামবে না।
স্কুল লগইনের জানালা আলাদা সময়ে খুলবে, অক্টোবরের শুরুতে। স্কুল তখন প্রতিটি আবেদন দেখে নেবে, নথি মিলিয়ে দেখবে। তারপর পর্ষদে ফাইল পাঠাবে, ফি জমা দেবে সময়মতো। স্থির সময়সীমা আছে, তার মধ্যে কাজ সারতে হবে।পর্ষদের বার্তা স্পষ্ট, জিরো এরর রেজিস্ট্রেশন লক্ষ্য এবার। গত দুই বছর একাধিক জানালা খোলা হয়েছিল, অভিযোগ জমেছে। এবার ছাত্রদের হাতে সরাসরি যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটিই বড় বদল, এটিই রেসপনসিভ গভর্নেন্সের উদাহরণ। এটিই পরীক্ষার স্বচ্ছতায় নতুন ধাপ বলে মনে করছে পর্ষদ।
স্বনামধন্য স্কুলে পড়লে সহায়তা পাবেন, ছোট স্কুলে নিজেই করবেন। জন্ম সনদের এন্ট্রি সময়মতো হয়েছে কি না দেখবেন। দেরিতে জন্ম সনদ হলে বাড়তি আদেশ লাগে, আগে জোগাড় করুন। অপ্রয়োজনীয় দেরি করবেন না, সময় মানুন, কাজ হবে।একটি সাধারণ ভুল বারবার দেখা যায়, নামের বানান মেলে না। স্কুলের খাতায় একরকম, সার্টিফিকেটে অন্যরকম, জন্ম সনদে ভিন্ন। তিনটিকে এক করতে হবে, একবারে স্থায়ীভাবে করতে হবে। পরে মার্কশিটেও সেটাই যাবে, এই ধাপটি গুরুত্বপূর্ণ।
পোর্টাল চালুর সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানিয়েছে পর্ষদ, নোটিফিকেশন আছে। নম্বর, তারিখ, জানালা, লগইন পদ্ধতি, সংশোধনের তালিকা দেওয়া আছে। স্কুল ড্যাশবোর্ডের সময়ও সেখানে লেখা আছে স্পষ্টভাবে। এটাই মূল রেফারেন্স, এখানেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।সবশেষে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বার্তা সহজ, আজই লগইন করুন। যা দেখার আছে দেখে নিন, ভুল থাকলে অনলাইনে দিন। নথি নিয়ে স্কুলে যান, একটি কপি নিজের কাছে রাখুন। রিসিভিং প্রুফ রাখুন, সময়সীমা মেনে চলুন। নির্ভুল নথি নিয়ে পরীক্ষায় বসুন, আতঙ্ক নয় প্রস্তুতি হোক।