রাতদিন ওয়েবডেস্ক : বিশ শতকে এসে ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত হতে পারছে না সমাজ। অন্ধ বিশ্বাসের একটি জলজ্যান্ত প্রমাণ মিলল বাঁকুড়ায়। পরিণত ক্যান্সার নিয়ে সংকটজনক পরিস্থিতিতে দুই রোগীর প্রাণ বাঁচালো বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়ায় দুই ব্যক্তি মুখ্ গহ্বর ও নাকের ভেতর ঘা সারাতে ওঝার তাবিজ ও ঝাড়ফুঁকের উপর আস্থা রেখে ওঝার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। বাঁকুড়ার হেলনা শুশুনিয়ার (Bankura Helna Susunia) বাসিন্দা বেলা দেবী ও জামতোড়ার ৬২ বছরের অমির দত্ত মুখ ও নাকের ভেতর ছোট ঘা সারাতে ঝাড়ফুকের ওপর ভরসা করে বোঝার কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বেলা দেবী জানান, ওঝা খেজুর গাছের তলা থেকে মাটি এনে খেতে নির্দেশ দেন। সাথে জরিবুটি জাতীয় ওষুধও দিয়েছিলেন রোগ সারাতে। বোঝার কথামতো সব নিয়ম মেনে চললেও রোগ না সেরে উল্টে নাকের ঘা ডান চোখের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ঘটনার সামাল দিতে বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Bankura Sammiloni Medicals College & Hospital)বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন বেলা দেবী।
আরও পড়ুন ঃ সৌরভের ভূমিকায় ঋষি-পুত্র, নাম ঘোষণা প্রযোজকদের
ক্ষত দেখেই দুজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইএনটী (ENT)ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তারা কেন এতদিন চিকিৎসা কেন্দ্রে যান নি প্রশ্নের জবাবে অমিতবাবু বলেন,"প্রতিবেশীরা অনেকেই বলেছেন ওঝার তাবিজ জরিবুটি এবং ঝাড়ফুঁকে সুস্থ হয়েছেন তারা আর তাদের কথা বিশ্বাস করে আমি ওঝার কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তাতে সময় নষ্ট হয়েছে এবং ক্ষত বেড়ে ক্যান্সার ধারণ করেছে ।"হাসপাতাল সূত্রের খবর সমস্ত রকম ঝুঁকি ও পর্যালোচনা করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইএনটি বিভাগীয় প্রধান তথা প্রফেসর চিকিৎসক সোমনাথ সাহা চিকিৎসক অরবিন্দ বর্মা চিকিৎসক রাজেশ হাঁসদা ক্যান্সার সার্জারীর অভিজ্ঞ চিকিৎসক মনোজ মুখোপাধ্যায়।

