রাতদিন ওয়েবডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি ভুট্টোর! ভারত পাকিস্তানের সংঘাতের বিতর্ক মঞ্চ পরিণত হল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম করে ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর তীব্র কটাকে সরব হয়ে বিরোধিতায় পথে নেমেছেন ভারতের বিজেপি সমর্থকেরা। জানিয়ে শনিবার দেশের সব রাজ্যের রাজধানীতে ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করবে বিজেপি সমর্থকরা পাশাপাশি পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীর কুসপুতুল ও পোড়ানো হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনার মঞ্চে ভারত পাকিস্তানের পালা আসতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয় শংকর পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুঘর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। যার বিপরীত প্রতিক্রিয়া তে ভুট্টো বলেন "ওসামা বিন লাদেন মৃত কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনো জীবিত রয়েছে যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী"। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী না হওয়া পর্যন্ত মোদির আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ওরা আসলে আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী ও আর এস এস এর বিদেশমন্ত্রী"। উক্তির পর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লেখি ও বিজেপির বড় নেতারা।
ভুট্টোর বক্তব্যের বিপরীতে অরিন্দম বাগচী পাক বিদেশ মন্ত্রীর এই আচরণ কি অসভ্যতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তানের পক্ষে এটা চরমতম হীন মন্তব্য, তারা ভুলে গেছে ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে বাংলাদেশের বিজয় দিবস যা পাকসেনার হাতে বাঙালি এবং হিন্দুদের গণসংহারের জন্যই দিনটি তৈরি হয়েছিল। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষী লিখি বলেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তার থেকে এটা স্পষ্ট যে শুধু তার দেশ দেউলিয়া হয়নি। তিনি ও মানসিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন বোধহয় পাকিস্তান এখনো একাত্তরের যুদ্ধে পরাজয়ের বেদনা অনুভব করে তাই ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল উনার ঠাকুরদা জুলফিকার আলী ভুট্টো হাড়ের পর কান্নাকাটিও করেছিলেন সে কথা তিনি ভুলে গেছেন।

