রাতদিন ওয়েবডেস্ক : দিল্লির মেহেরুলির জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়ের টুকরো গুলি ডিএনএ পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে। তার রিপোর্টে পুরোপুরিভাবে প্রমাণ হয়ে গেল শ্রদ্ধা খুনের মামলাটি। শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ নমুনা (DNA) সংগ্রহ করে তার সঙ্গে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়ের টুকরো গুলি মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া হার গুলি শ্রদ্ধার বলে নিশ্চিত জানিয়েছেন দিল্লী পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগ অনুযায়ী আফতাপকে জেরা করে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে আফতাফের হাতেই খুন হয়েছিল তার মেয়ে শ্রদ্ধা। ১৮ই মে শ্রদ্ধা কে গলা টিপে আফতাব খুন করে টুকরো টুকরো করে তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ফেলে আসে সে। এই চাঞ্চল্যকর খবরটি সামনে আসতে পুলিশই হেফাজতে রাখা হয় আফতাবকে। সেখানে আফতাবের জেরায় শ্রদ্ধা খুনের চিত্র সামনে আসে সকলের।
গত অক্টোবরে মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকার। তারপর শ্রদ্ধার মোবাইলের কল লিস্ট থেকে পুলিশ জানতে পারে তিনি দিল্লিতে ছিলেন। সেখানে গ্রেফতার করা হয় শ্রদ্ধার লিভিং পার্টনার আফতাবকে। সন্ধ্যার বাবার দাবি মেয়ে ভিন্ন ধর্মের ছেলেকে পছন্দ করায় দীর্ঘদিন কোন সম্পর্ক রাখেননি তিনি। আফতাবের থেকে কয়েকটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে যা দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করেছিল আফতাব। আফতাবকে লাই ডিটেকশন (lie detection) পরীক্ষা করানো হয়েছে।
সদ্য পাওয়ার ডিএনএ (DNA) পরীক্ষার রিপোর্টকে বড় প্রমাণ হিসেবে আদালতে তুলে ধরবেন পুলিশ। যদিও মুম্বাইতে হওয়া একটি প্রেস কনফারেন্সে (press conference) মুম্বাই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করে বসেন শ্রদ্ধার বাবা। তিনি জানান ২০২০ সালে শারীরিকভাবে অত্যাচার হওয়ার পর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও আফতাবের বিরুদ্ধে কোনরকম পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি। যদিও মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শ্রদ্ধার অভিযোগের পর শ্রদ্ধা নিজে গিয়ে পরে একটি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ তুলে নেন।

