রাতদিন ওয়েবডেস্ক : রাশিয়ার ইভানোভো অঞ্চলে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় একটি এএন-২২ সামরিক পরিবহণ বিমান ভেঙে চালক সহ সমস্ত আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।এমনটাই জানিয়েছে মস্কো। এর আগে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ওই বিমানে সাতজন আরোহী ছিলেন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সেনা আবার রাশিয়ার ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে অন্তর্ঘাত চালিয়েছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার জানিয়েছে, একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চলাকালে আইভানোভো অঞ্চলের ইভানোভো গ্রামের কাছে একটি এএন-২২ সামরিক পরিবহণ বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানটির সকল যাত্রী নিহত হয়েছেন। ইভানোভো অঞ্চলটি মস্কোর পূর্বে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখানে একটি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রয়োজনীয় মেরামতের পরে ওই সামরিক পরিবহণ বিমানটির পরীক্ষামূলক উড়ান চলছিল। বিমানটিতে কতজন ছিলেন, তা বলা হয়নি। তবে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ আগেই জানিয়েছে, বিমানে সাতজন ক্রু ছিলেন। তবে বিমান ধ্বংসের নেপথ্যে কিয়েভের কোনও ভূমিকা আছে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনে প্রায় চার বছর ধরে চলা অভিযানের সময়ে দেশটিতে সামরিক তৎপরতা ও গতিবিধি বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ায় সামরিক পরিবহণ ও সরঞ্জাম জনিত দুর্ঘটনার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ফ্লাইটটি মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর উড়ান হয়েছিল। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।কোমারসান্ত দৈনিক জানিয়েছে, সামরিক বিমানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এ তথ্যের সূত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। রাশিয়ার প্রায় চার বছরের ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে সামরিক পরিবহন ও সরঞ্জাম সম্পর্কিত দুর্ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে। যদিও পাশাপাশি নজির রয়েছে রাশিয়ার অন্দরে ঢুকে ইউক্রেন ফৌজের গোপন হানাদারিরও। চলতি বছরের জুলাই মাসে পুতিন সরকারের যাবতীয় গোয়েন্দা ‘নেটওয়ার্ক’ এবং প্রতিরক্ষা নজরদারি ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিয়ে রুশ ভূখণ্ডের গভীরে ঢুকে মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর অঞ্চলের পাঁচ সামরিক বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। বিস্ফোরকবাহী ১১৭টি কোয়াড কপ্টারের হামলায় অন্তত ৪০টি বোমারু ও নজরদারি বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
