রাতদিন ওয়েবডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচে ১০১ রানে জিতে এগিয়ে গেল ভারত।২০২৪ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতকে হারতে হয়েছে মাত্র ৪ ম্যাচে। বাকি সব কটিতেই জয়। সেটা যে কেন, তা আরও একবার দেখিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার একপেশে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রতিপক্ষকে কার্যত নাস্তানাবোধ করে ছাড়লো টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে হার্দিক পাণ্ডিয়ার অনবদ্য ইনিংস।
তারপর বোলারদের দাপটে টিম ইন্ডিয়া জিতল ১০১ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হল মাত্র ৭৪ রানে।মঙ্গলবার আবার টস হারে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বিশ্রী হয় টিম ইন্ডিয়ার। প্রথম ওভারেই ফেরেন সহ অধিনায়ক শুভমান গিল। টি টোয়েন্টিতে বারং বার ব্যর্থ হয়ে চলেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উপর চাপ বাড়বে। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। এদিন মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। এরপর খানিকটা পালটা লড়াই শুরু করেন তিলক বর্মা, অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু তারা কেউই রানের গতি বাড়াতে পারেননি।সেই জায়গা পূরণ করতে হয় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। তিনি যখন ব্যাট করতে এলেন তখন ৪ উইকেটে ৭৮ রানে বেশ চাপে ভারত। সেখান থেকে শুরু পালটা যাত্রা । মাত্র ২৮ বলে ৫৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। ছয়টি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। মূলত হার্দিকের ওই ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে পৌঁছায় টিম ইন্ডিয়া।
সেসময় মনে হচ্ছিল কটকের মাঠে শিশিরের মোকাবিলা করে এই রানে জেতাটা কঠিন হবে। কিন্তু সেই ধারণা একেবারে গোড়াতেই ভেঙে দিলেন ভারতের বোলাররা। শুরুতেই অর্শদীপ সিং তুলে নিলেন ডি'কক কে। এরপর একে একে মার্করাম, স্টাবস, মিলার, ফেরেরিয়া সকলেই ব্যর্থ হন। একমাত্র ব্রেভিস,২২ রান ছাড়া কোনও ব্যাটার কুড়ি রানের গণ্ডি পেরোননি। যার ফলে সেভাবে গতিই পায়নি বিপক্ষ দল । মার্করামরা বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করলেন। যার ফল তাঁদের ভুগতে হল। মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয়ে গেলেন তারা। তাও সাড়ে ১২ ওভারে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন অর্শদীপ, বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, অক্ষর দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। হার্দিক এবং দুবে পেলেন একটি করে উইকেট। এদিন বুমরাহ টি-২০ কেরিয়ারে শততম উইকেট পেয়েছেন। একমাত্র ভারতীয় বোলার হিসাবে ৩ ফরম্যাটেই উইকেটের সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি।
