রাতদিন ওয়েবডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর আসতে চলেছে। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তাঁদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বাড়তে পারে। তবে, বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বৃদ্ধির পরিমাণ মাত্র ২ শতাংশ হতে পারে। যদি সত্যিই এই পরিমাণে ডিএ বাড়ে, তবে এটি হবে বিগত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃদ্ধি।
বর্তমানে ডিএ ৫৮ শতাংশ রয়েছে, যা ২ শতাংশ বাড়লে ৬০ শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় কর্মীরা এই বৃদ্ধির মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পেলেও, তা প্রত্যাশিত না হওয়ায় তাঁদের অল্পেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।২০২৬ সালের এই ডিএ পর্যালোচনা রুটিন বৃদ্ধির চেয়েও বেশি কিছু কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এটিই হতে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদের বাইরে প্রথম ডিএ বৃদ্ধি, কারণ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সপ্তম বেতন কমিশনের দশ বছরের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। যদিও অষ্টম বেতন কমিশন ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে, তবে কবে থেকে এটি কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে যে কেন্দ্রীয় কর্মীরা সম্ভবত ২০২৭ সালের শেষ বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকের আগে অষ্টম পে কমিশনের অধীনে বেতন বৃদ্ধির সুবিধা নাও পেতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে, জানুয়ারি মাসের এই ডিএ বৃদ্ধি ভবিষ্যতের বেতনের রূপরেখা নির্ধারণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে।জানুয়ারি মাসের এই ডিএ বৃদ্ধি এই কারণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অষ্টম বেতন কমিশন যখন বাস্তবায়িত হবে, তখন বর্তমান প্রাপ্ত ডিএ বেসিক পে-এর সঙ্গে মিশে যাবে। অর্থাৎ, নতুন বেতন কাঠামোয় সমস্ত ডিএ মূল বেতনের অংশ হয়ে যাবে এবং তখন নতুন করে ডিএ গণনা শূন্য থেকে শুরু হবে। ফলে, ২০২৬ সালের এই বৃদ্ধি কর্মীদের বর্তমান আয়কে যেমন প্রভাবিত করবে, তেমনই এটি তাদের ভবিষ্যতের বেতনের ভিতকেও মজবুত করতে সাহায্য করবে। কর্মীদের আশা, সরকার দ্রুত অষ্টম পে কমিশন কার্যকর করার বিষয়ে টার্ম অব রেফারেন্সে (টিওআর) স্পষ্টতা আনবে, যাতে বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা দূর হয়।
