রাতদিন ওয়েবডেস্ক : বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলেই বাঙালির এখনো প্রথম পছন্দ দিপুদা অর্থাৎ দিঘা,পুরি আর দার্জিলিং। আর দার্জিলিং গেলেই গ্লেনারসের সামনে ছবি তোলার যে কি বাহার সে তো সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই আমরা দেখতে পাই। তবে আপাতত যারা দার্জিলিং এ যাচ্ছে তাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ। তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে রেস্তোরাঁ গ্লেনারিস।শীতের মরশুমে পাহাড়ে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। শৈলশহরের অন্যতম রেস্তরাঁ গ্লেনারিসের বার ও মিউজিক বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের তরফে ।
আগামী তিনমাসের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে ক্রিসমাস ও নববর্ষ পালন-সহ গোটা শীতকালই এই আকর্ষণ থেকে পর্যটকরা বঞ্চিত হবেন বলে খবর। তবে হটাৎ এই নির্দেশিকার কারণ কী হতে পারে সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।অভিযোগ উঠছে এক্সাইজ রুল লঙ্ঘণ করেছে রেঁস্তোরা । দার্জিলিং বেঙ্গল এক্সাইজের ক্রাইম ব্রাঞ্চ শৈলশহরের বিখ্যাত বার কাম রেস্তরাঁ গ্লেনারিস-এর বার এবং মিউজিক তাই বন্ধ করে দিয়েছে । মঙ্গলবার থেকে তিনমাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল এই রেঁস্তোরা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কালেক্টর সরণ্য বারিক বলেন, "বেঙ্গল এক্সাইজ রুল লঙ্ঘণ করায় আমরা এই বারটি তিনমাসের জন্য বন্ধ করেছি।"শৈলশহরে পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ গ্লেনারিস। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই রেস্তরাঁ বার এই প্রথম বন্ধ হল। গ্লেনারিস এর তিনটি বিভাগ রয়েছে। বার, বেকারি এবং রেস্তরাঁ। তবে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গ্লেনারিস এর কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ড। রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তাঁর কথায়, "আমার গ্লেনারিস-এর সমস্ত কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু আমার লাইভ মিউজিক পেপার একবছর ধরে বন্ধ।" তিনি আরও বলেন, "বার বন্ধ করে দেওয়ায় এই মরশুমে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হবে। কিছু করার নেই। কোভিডের সময়ও ক্ষতি হয়েছে।"এডওয়ার্ডের আরও অভিযোগ, "দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার গানবাজনার অনুমতিপত্র দেননি। নিয়ম অনুসারে দার্জিলিং পুলিশ সুপারের কাগজটি সিভিল সার্ভিস বিভাগকে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি কাগজটি না দেওয়ায় এটি ঘটেছে।" অন্যদিকে গ্লেনারিস এর ম্যানেজার অশোক তামাং বলেন, "প্রশাসন তিনমাসের জন্য এখানে মদ্যপান এবং সঙ্গীত পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ক্রিসমাস ও নববর্ষের বুকিং বাতিল হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন সঙ্গীত পরিবেশন ও বাদ্যকর মিলিয়ে আটজন আছেন। তাঁরা হতাশ। ২৫০ কর্মচারী বিপাকে পড়েছেন। পর্যটন মরশুমে আরও ৫০ জনেরও বেশি কর্মচারী থাকে।"তবে এই সাথে যারা দার্জিলিং ঘুরতে যাচ্ছেন তারা কিছুটা হলেও বঞ্চিত হলেন। যেসব ব্যক্তিদের উইস লিস্টে নাম এই রেস্তোরার তারাও কিছুটা ক্ষুন্নই হবেন বলে ধারণা করা যায়।
