রাতদিন ওয়েবডেস্ক : লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। শঙ্খ ধ্বনির মধ্যে দিয়ে শুরু হয় গীতাপাঠ। গীতাপাঠএর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, শমিক ভট্টাচার্য, দিলীপ ঘোষ, লোকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্র পল সহ অন্যান্যরা। ঢাক,খোল-করতাল নিয়ে নাচ করতে দেখা গেল সনাতনী দের। এদিন সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত চলে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।
এই তিনটি মঞ্চের মধেই গীতাপাঠ হয় যার মধ্যে মূল মঞ্চের পাশে আরও দুটো মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল গীতাপাঠ এর এই অনুষ্ঠানের জন্য। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন জ্ঞানানন্দো জি মহারাজ। ভক্তদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল প্রসাদ ও জল। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। মঞ্চ জুরে রাখা হয়েছিল একাধিক সিসি ক্যামেরা। ভোটমুখী বাংলায় ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। ব্রিগেডে হাজার হাজার মানুষ এর ভির। ‘পার্থসারথি’ মঞ্চে গীতার প্রতিস্থাপন । ২৬ এর ভোটের আগে ধর্মীয় অস্ত্রে শান গেরুয়া শিবিরের! গীতাপাঠ নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বেদ পাঠ এর পর হয় আরতি। এদিন অনুষ্ঠান থেকে হিন্দু ঐকের ডাক দেন দিলীপ ঘোষ। মানুষের মধ্যে শান্তির বার্তা দিতেই এই লাখো কন্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন দাবি উদ্যোক্তাদের। সিসিটিভি চাদরে মোড়া ছিল ব্রিগেড ময়দান চত্ত্বর। ব্রিগেড ময়দানে শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যের সাধুরাই নয় অন্যরাজ্য থেকেও সাধুরা এসেছেন আজকের এই গীতাপাঠে অংশ গ্রহণ করেন। ময়দান পুরো কানায় কানায় পূর্ণ ছিল ভক্তদের ভিড়ে।গীতাপাঠের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূল মঞ্চের দু’পারে অপেক্ষাকৃত ছোট দু’টি মঞ্চ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন সাধুসন্তরা। উপস্থিত রয়েছেন স্বামী জ্ঞানানন্দ, স্বামী ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী এবং সাধ্বী ঋতম্ভরা। রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন মঞ্চে। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন মতুয়াদের একাংশ।
