রাতদিন ওয়েবডেস্ক : ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বড়সড় ধাক্কা! দিল্লি তথা ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচিত মুখ নীতিশ রানা এবার তাঁর দীর্ঘদিনের পরিচিত ঠিকানা ছাড়লেন। খবর অনুযায়ী, আগামী ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম থেকে তিনি আর দিল্লি ও ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (DDCA)-এর হয়ে খেলবেন না।
কেন দিল্লি ছাড়লেন নীতিশ রানা?
নীতিশ রানা দিল্লির ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা ছিলেন এবং দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে DDCA এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অসন্তোষ এবং দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে কিছু মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল। সূত্রের খবর,তারকা এই ব্যাটসম্যানকে ৮.২০ কোটি টাকায় বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে কিনে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)।
দীর্ঘ দিন ধরে নীতিশ রানা দিল্লি এবং KKR দলের মিডল অর্ডারের মূল স্তম্ভ ছিলেন। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ছিল দলের অন্যতম ভরসা। তাঁর এই দল বদলের সিদ্ধান্তে দিল্লি এবং KKR ভক্তদের মধ্যে বড় ধাক্কা। নীতিশ রানার এই নতুন ইনিংস আগামী আইপিএল-এ RCB-এর ট্রফি জয়ের স্বপ্নে কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
দিল্লি ক্রিকেটের শূন্যতা ও RCB-এর নতুন বাজি
নীতিশ রানার মতো একজন তারকা ক্রিকেটারের দল ত্যাগ দিল্লি ক্রিকেটকে শুধু ব্যাটিংয়ের দিক থেকেই দুর্বল করল না, বরং দলের ভেতরের পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল। দীর্ঘদিন ধরে DDCA-এর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল, তা আবারও প্রমাণিত হলো। নীতিশ রানা ছিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে এক অনুপ্রেরণা; তাঁর মতো একজন স্থানীয় অধিনায়কের চলে যাওয়া দিল্লির ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য এক গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করল। এখন নতুন করে দিল্লিকে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের সন্ধান করতে হবে এবং ঘরোয়া মঞ্চে নিজেদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করার জন্য নতুন করে দল সাজাতে হবে।
অন্যদিকে, এই দলবদল নীতিশ রানার ব্যক্তিগত কেরিয়ারেও এক নতুন মোড় এনে দিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্য রাজ্যে খেলার পাশাপাশি, আইপিএল-এও তিনি হলুদ-নীল জার্সির বদলে এবার লাল-কালো জার্সিতে নামবেন। ₹৮.২০ কোটির এই বিশাল মূল্য তাঁর ওপর বিরাট প্রত্যাশা চাপিয়ে দেবে। RCB ম্যানেজমেন্ট তাঁকে ফিনিশার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখতে চাইছে — যিনি বড় স্কোর তাড়া করার ক্ষেত্রে চাপ সামলাতে পারেন। দিল্লি-কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোরে এসে এই সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তির টিমে বড় পারফরম্যান্স করা—এটাই এখন নীতিশ রানার সামনে সবচেয়ে বড় পেশাদার চ্যালেঞ্জ।

