রাতদিন ওয়েবডেস্ক : শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন বেশ কিছু সময় অতিক্রান্ত। দেশ সামলাতে নাজেহাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ইউনূস সরকার। ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করব না বলে দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার । কিন্তু ধীরে ধীরে সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে তারা। ইলিশ এসেছে ভারতে। এবার ভারত থেকে পেঁয়াজ যাচ্ছে বাংলাদেশে। সেই পেঁয়াজের পরিমাণ প্রায় ১৫০০ টন।কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ কি সেই দিকেই নজর সবার।
সূত্র অনুসারে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে এখন পেঁয়াজের কেজি ১৪০-১৫০ টাকা। ফলে দাম না কমলে সাধারণ মানুষের পাতে পেঁয়াজ বিরল হয়ে যাবে। ক্ষোভ বাড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই চাপেই মোট ৫০ জন আমদানিকারককে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল ইউনূস সরকার। তবে প্রতিজনকে মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজই আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতির সময়সীমা আাগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত।হিলি সীমান্ত থেকে যারা বাংলাদেশ পেঁয়াজ ব্যবসা করেন তাদের অনেকেরই বক্তব্যে মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজ তাঁদের কাছে খুবই কম। তবুও এপারের ব্যবসা বাড়ার পাশাপাশি ওপারের মানুষ কিছুটা হলেই স্বস্তি পাবেন। বাংলাদেশ সরকারর বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, আমদানি করার পর পেঁয়াজের দাম কম হলে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে উলেক্ষ করা ভালো, এর আগে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের অভিমত ছিল , সরকার পেঁয়াজ সহ অন্যান্য আনাজের জন্য ভারত ছাড়া পাকিস্তান, তুরস্ক, মিসর, চিন কিংবা মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করুক। বাংলাদেশ এতদিন ভারত ছাড়াও মায়ানমার, চিন, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছিল। তবে তার পরিমাণ ছিল খুবই কম।ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম প্রায় পাঁচগুণ বেশি। এর কারণও খুবই সহজ। একসময় ভারতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হত তার তিন ভাগের একভাগই যেত বাংলাদেশে। এখন দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজ ঢুকছে না। ফলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম চরমে । তবে ভারতে থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে শোনার পর পেঁয়াজের দাম কেজিতে কোথাও কোথাও কমেছে বলে জানা যাচ্ছে ।
