রাতদিন ওয়েবডেস্ক: গোয়ার আরাপুরায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ক্লাবটির মালিক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল গোয়া পুলিশ। সেই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে ক্লাবের সহ-মালিক অজয় গুপ্তকে আটক করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই অজয় গুপ্তের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছিল।
তবে বাড়িতে তাঁকে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে অবস্থানকালে তাঁকে আটক করা হয়। জানা যায়, তিনি দিল্লির লাজপত নগরের একটি হাসপাতালে শিরদাঁড়া সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকেই তাঁকে হেফাজতে নেয় গোয়া পুলিশ।তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে গোয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অজয় গুপ্ত দাবি করেছেন, তিনি শুধুমাত্র ব্যবসায়িক বিষয় দেখতেন এবং ক্লাবের দৈনন্দিন পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন না।
এই ঘটনায় গোয়া পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “অজয় গুপ্তকে দিল্লি থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত এখনও চলছে।”এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলে বলেন, ক্লাবের তিনজন মালিক – সৌরভ লুথরা, গৌরব লুথরা এবং অজয় গুপ্ত থাকলেও প্রাথমিক এফআইআরে শুধু সৌরভ ও গৌরবের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চিফ জেনারেল ম্যানেজার রাজীব মোদক, জেনারেল ম্যানেজার বিবেক সিং, বার ম্যানেজার রাজীব সিংহানিয়া, রিয়াংশু ঠাকুর এবং কর্মী ভরত কোহলি। পুলিশের দাবি, তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে আরও গ্রেফতারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
