রাতদিন ওয়েবডেস্ক : থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘাত ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ থামাতে আবার মধ্যস্থতার চেষ্টা করার ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করবেন।সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে দুই থাই সেনা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। তার আগেই গত ১০ নভেম্বর কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির চুক্তি মুলতুবি রাখার ঘোষণা করেছিল থাইল্যান্ড। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা দানা বাঁধছিল, যা এবার বাস্তব রূপ নিয়েছে।পেনসিলভেনিয়ায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, এর আগেও বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ থামাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। তিনি বলেন, “থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুব শীঘ্রই তাদের সঙ্গে কথা বলব। আমার ফোনের পর পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।”তবে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে কি না, তা নিয়ে দুই দেশের অবস্থান বিপরীত। কম্বোডিয়া আলোচনায় বসতে রাজি হলেও থাইল্যান্ড এখনও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। থাই বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক আলোচনার আর কোনও বাস্তবতা নেই। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার সেনেট প্রধান হুন সেন জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনায় তাঁর দেশ প্রস্তুত, তবে প্রয়োজন হলে তাঁরা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের বহু সেনা ইতিমধ্যেই হতাহত হয়েছেন। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। মানবিক সংকটও ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠছে, যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে।
