রাতদিন ওয়েবডেস্ক : ভারতবর্ষের উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি এক পথপ্রদর্শকের কাজ করে চলেছে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে শিক্ষা গ্রহণ করছে নিজেদের প্রস্তুত করছে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সাথে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে কলকাতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ শাখা আছে নিউটাউন অঞ্চলে। গত মঙ্গলবার ২৬ শে নভেম্বর ২০২৪ কলকাতার বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ষষ্ঠতম সমাবর্তন উদযাপিত হয়। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রীরা এই উপলক্ষে তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথাগত উৎসব হলেও এর সাথে মিশে থাকে পরীক্ষা উত্তীর্ণদের আবেগ উৎসাহ এবং উদ্দীপনা। স্নাতক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে এই অনুষ্ঠানে যোগদান তাদের বাবা-মায়েরা এবং শিক্ষা জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাদের সকলের উজ্জ্বল উপস্থিতি এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিল এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরম্পরা অনুযায়ী বৈদিক যোগ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
তাদের একান্ত প্রিয় অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি তাদের মনের কাছাকাছি থাকবে চিরকাল। উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সঞ্জয় কুমার অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি কলকাতার নানান অগ্রণী কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সৃজনশীল গবেষণা উদ্ভাবন শক্তি এবং মূল্যবোধের প্রশংসা করে তারা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করবে এই তাঁর বিশ্বাস। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর সৌভিক ভট্টাচার্য,ডক্টর বিবেকানন্দ পাণ্ডে, অভয় চৌহান। সমাবর্তন শেষে সদ্য ডিগ্রি প্রাপ্ত সমবেত শিক্ষার্থীরা তাদের স্নাতক টুপি উড়িয়ে আনন্দে উল্লাসে মেতে ওঠে এবং একে অপরকে অভিনন্দন জানায়। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি শোনা যায় তাদের সমবেত উল্লাস "থ্রি চিয়ার্স টু অ্যামিটি "। এই সমাবর্তন তাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ অনুষ্ঠান নয় বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকার আরো এক সোপান এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।