Type Here to Get Search Results !

যৌথ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের জামিন মঞ্জুর হাইকোর্টে

রাতদিন ওয়েবডেস্ক :  নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার সিবিআইয়ের মামলাতেও ছাড়া পেলেন কুন্তল ঘোষ। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির বিনিময় টাকা তোলার অভিযোগে বিপুল সংখ্যক আর্থিক লেনদেনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলেই রয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। তবে সেই মামলায় গত ২০ নভেম্বর তৃণমূল যুব প্রাক্তন নেতা কুন্তলকে জামিন দিল দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই মামলায় জামিন দেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমার এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চ জানিয়েছিল তাকে কলকাতা হাইকোর্টেই প্রথমে আবেদন করতে হবে। তারপরেই জামিন মিলবে তার। 

তবে শেষমেষ সিবিআই মামলা থেকেও মুক্তি পেল কুন্তল। এর আগে ইডি সিবিআই এর যৌথ রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছিল যে কুন্তল ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা তুলেছেন। কসবার অফিসে নিজের এই ভুয়ো সেন্টার বানান তিনি। এছাড়াও মোট ১৯ কোটি টাকা তার কাছে আছে বলেও ওই রিপোর্টে বলা হয়। দুই মামলার থেকে মুক্তি পেলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থার অনুমতি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না কুন্তল ঘোষ। তার মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কোন সরকারি পদ নিতে পারবেন না তিনি। সিবিআই-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছিল টেটে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল কুন্তল ও তার দল। ওই দলে ছিলেন নীলাদ্রি ও তাপস মন্ডল। 

ফেল করা টেট প্রার্থীদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যোগ্য প্রমাণ করার কার্যক্রম চলতো। এই কাজে সব রকম অসাবধানতা এড়াতে একটি ভুয়ো ইমেল আইডি তৈরি করেছিলেন তারা। সেখান থেকেই মেইল করে চাকরি প্রাপকদের ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হতো। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ওএমআর শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। তবে কিছুদিন আগে সুপ্রিমকোর্ট সিবিআই এর কাছে কুন্তলের জেলবন্ধু অবস্থার সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন করায় সিবিআই সেবার উত্তর দিয়েছিল এই মুহূর্তে তারা যদি জামিন পেয়ে যান তবে এই মামলা সংক্রান্ত তথ্য নষ্ট হতে পারে। মামলার তদন্ত চলাকালীন তা কিছুতেই সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত গত মে মাসে কুন্তলেরই সহযোগী নীলাদ্রিকে জামিন দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এরপরেই নিজের জামিনের জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানান কুন্তল। আর এরপরেই তার জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্ট।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad