রাতদিন ওয়েবডেস্ক : মূলত করোনার সময় ভরাডুবি হয়েছিল আবাসন ব্যবসার। পরে অবশ্য চাহিদার উন্নতি ঘটেছে বলে জানা যায়। নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ফ্ল্যাটের দামও পারদ চড়া।উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারকের হিসাবানুযায়ী, চাহিদা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি কাঁচামালের দর বেড়ে যাওয়ার কারণেই কলকাতার পাশাপাশি দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে গত তিন বছরে দাম বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ।মহামারীর ধাক্কায় চাহিদা একদম তলানিতে ঠেকার কারণে দীর্ঘদিন মূল্য বৃদ্ধি হয়নি। সে সংকট কাটিয়ে উঠার পর চাহিদার পারদ আকাশ ছোঁয়া।মূলত ২০২০ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সমীক্ষা
চালিয়ে আন্যারকের আঞ্চলিক ডিটেক্টর তথা প্রধান গবেষক প্রশান্ত ঠাকুর জানিয়েছেন সব মিলিয়ে এই তিন বছরে ফ্ল্যাটের গড় দাম বেশ চরেছে।এর আওতাধীন নানান শহরের পাশাপাশি ছিল কলকাতার তিনটি এলাকা -জোকা ,রাজারহাট ও ইএম বাইপাস। ওই সময় জোকার সর্বোচ্চ দাম ২৪ শতাংশ বেড়েছিল । এরকম রাজারহাট ইএম বাইপাসের দাম বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১৯ ও ১৩ শতাংশ। সম্প্রতিকালে জোকায় প্রতি বর্গ ফুটের গড় দাম ছিল ৪২৭৫ টাকা। অন্যদিকে ফ্ল্যাটের গড় দাম বেশি ইএম বাইপাস এলাকায়, প্রতি বর্গফুট পিছু ৭৭১০ টাকা, রাজারহাট এর দাম প্রায় ৫২০০ টাকা।সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী হায়দ্রাবাদের গাছিবাওয়ালিতে দাম বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। অপরদিকে ব্যাঙ্গালোরের হোয়াইট ফিল্ডে ২৯ শতাংশ, চেন্নাইয়ের পেরুমবক্কমে ১৯ শতাংশ, গ্রেটার নয়ডায় ২৭ শতাংশ, দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়েতে ২০ শতাংশ, পুনের ওয়াঘলিতে ২৫ শতাংশ।