Type Here to Get Search Results !

কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি, উদ্ধার হতে এখনও অনেক বাকি!

রাতদিন ওয়েবডেস্ক : প্রথম থেকে ভাবা হয়েছিল যে উদ্ধারকাজ কঠিন তবে সম্ভব নয়, তেমনটা নয়। তাই সেই লক্ষ্যে স্থির থেকে উদ্ধারকারী দল একে একে পেরিয়েছিল বিভিন্ন বাধা। সেই সকল বাধা পেরিয়ে বাকি ছিল আর মাত্র ৬-৯ মিটার পথ। আর সেখানেই এসে যেন সকল চেষ্টা বিফলে গেল। আপাতত অনিশ্চিত হয়ে গেল ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধার কাজ।শেষ দু’দিন ধরে, সেই ভাবে পথ অতিক্রম করা যায়নি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আচমকায় বিগড়ে যায় ড্রিলিং মেশিন। সেই মেশিন ঠিক করতে ঐ দিন সারাদিনটাই পেরিয়ে যায়। এরপর রাতে বিভিন্ন তথ্য মারফত উদ্ধারকারী দল নিশ্চিত হয় ৪৬.৫ মিটার পাইপ যাওয়ার পর যে বাকি পথটি রয়েছে, সেখানে আর কোনও পাথরের চাঁই নেই, সহজেই এই ৫ মিটার পথ অতিক্রম করা যাবে। সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত হয় গতকাল দুপুর থেকে কাজ শুরু হবে। কিন্তু কাজ শুরু হতেই পড়তে হয় চরম বাধার মুখে। ফের ড্রিল শুরু হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে যায় ড্রিলিং মেশিন। জানা যায়, ওই ৫ মিটারের রাস্তায় মজুত রয়েছে ইস্পাত ও ভিন্ন ধরনের ধাতু। 




ড্রিলিং মেশিন এই দুই ক্ষেত্রেই কাজে লাগবে না। অর্থাৎ শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্যে যে পথ এই মুহুর্তে বাকি রয়েছে, সেই ৬-৯ মিটার পথে রয়েছে ইস্পাত বা অন্যান্য ধাতুর বাধা; যা অগার ড্রিলিং মেশিনের পক্ষে ভাঙা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। আর সেই চেষ্টা করতে গিয়ে আজ ফের ভেঙে যায় অগার ড্রিলিং মেশিন। এখানেই বিপত্তি বাড়ছে উদ্ধারকারী দলের। কেননা এবার ওই ৬-৯ মিটার পথ ছেঁনি-হাতুরি দিয়ে ভাঙতে হবে। অর্থাৎ একজনই কর্মীই ওই পাইপ লাইনের ভিতর দিয়ে ঢুকে, শুয়ে কিংবা উবুড় হয়ে বাকি পথ তৈরি করবে। ফলে কতদিনে সেই পথ তৈরি হবে, এখন এটিই কোটি টাক্র প্রশ্ন। মূলত, ৫ দিক থেকে উদ্ধারকারী দল চেষ্টা করছে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করার। কেননা দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ১৪টা দিন। ফলে এবার তাড়াতাড়ি তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার না করা হলে শ্রমিকদের বিপদ বাড়বে। সিল্কিয়ারা টানেল দিয়ে যেরকম চেষ্টা করা হচ্ছে উদ্ধার করার ঠিক সেরকম ভাবে বারকোটের দিক থেকেও চেষ্টা চলছে পথ বের করার। তবে বারকোটের দিক থেকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর রাস্তাটা অনেকটা। প্রায় ৪৭০-’৮০ মিটার পথ অতিক্রম করতে হবে সেই ক্ষেত্রে। ফলে আরও বেশ কিছুদিন টানেলের অন্ধকার কুয়োর মধ্যে থাকতে হবে ওই শ্রমিকদের, যা সত্যিই ভয়ের হবে। ফলে সব মিলিয়ে যে আশার আলো গতকাল পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল, তা আজ আবার ক্ষীণ হয়ে গেল আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের কাছে।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad