রাতদিন ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হওয়া সইফুদ্দিন লস্করের মৃত্যুকে ঘিরে উঠে এলো নতুন তথ্য। সাইফুদ্দিন কে খুনের পরই শাহরুল অনিসুরকে ফোন করে জানায় "আমার কাজ হয়েগেছে"। তৃণমূল নেতাকে খুন করেনি শাহরুল। এমনই দাবি করছে সে। কিন্তু তদন্তের মাধ্যমে পর পর জানা যাচ্ছে শাহরুল-এর ভূমিকা।সাইফুদ্দিনকে গুলি করেছে শাহরুলই। গত ১৩ নভেম্বর কাজ সেরে আনিসুর কে ফোন করে জানান ও তিনি।১০ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে আদালতে তোলা হয় শাহরুলকে। ধৃতের কাছ থেকে যা সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ তা থেকে খুনের ঘটনায় যে সে সরাসরিভাবে যুক্ত তা ভালোমতই বোঝা যাচ্ছে।ধৃত শাহরুলের কাছ থেকে পাওয়া গেছে মানিব্যাগ,আগ্নেয়াস্ত্র,ব্যবহার হয় কার্তুজ ও সাইফুদ্দিনের ছবি।পুলিশের মতে টার্গেট যাতে কোনো রকমে মিস না হয় তা আগেথেকেই ঠিক করার জন্য সইফুদ্দিনের ছবি দেওয়া হয়েছিল সহরুলকে।ধৃতের মানিব্যাগে মিলেছে তাঁর আধার এবং প্যানকার্ডও। গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূল দাপটে নেতা সাইফুদ্দিন কে খুনের জন্য ভাড়ায় নেওয়া হয় সুপারি কিলারদের।
এই পাঁচজন দুটি বাইকে করে এসেছিলেন।আর তাদের মধ্যে শাহরুলই গুলি চালায়।এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন এখনও পলাতক। আনিসুরকে নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আনিসুরই এই খুনের ' মাষ্টারমাইন্ড ' তা দাবি করেছে পুলিশ। তিনি জয়নগররের দলুয়াখাকী গ্রামের বাসিন্দা।নেতার পরিবার থেকে যে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে আনিসুরের।' বড় ভাই ' নামে ডাকা ব্যাক্তিটি হলেন আলাউদ্দিন সাঁপুই।তিনি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় আলাউদ্দিন সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত।সূত্রের খবর , সবার দায়িত্ব ভাগ করা ছিল।কেউ খুন করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন,কেউ কিভাবে মারা হবে তার পরিকল্পনা করেছেন,কেউ আবার টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছেন।সইফুদ্দিনের উপর নজর রাখার দায়িত্ব ছিল শারুলের।শাহরুল ও সাহাবুদ্দিনকে গুলি করার দায়িত্ব দিয়েছিল নাসির ও 'বড় ভাই ' আলাউদ্দিন।আর এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে ছিলেন আনিসুর ও কামালউদ্দিন।টাকা পয়সা দিয়েছিল আরো তিন চার জন। যার মধ্যে একজন নেতারই পরিবারের লোক। তবে পুলিশ এই বিষয় খোলসা করছেনা।পুলিশ সূত্রে দাবি, পরিকল্পনা করেই হয়েছে খুন। এর জন্য সব মিলিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।