রাতদিন ওয়েবডেস্ক : হাইকোর্টের সিঙ্গেল এবং ডিভিশন দুই বেঞ্চে অমিত শাহের সভার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির বিরাট জয় বলে মনে করছেন শীর্ষ স্থানীয়রা। আর এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘আবার কেন চেষ্টা করেছিলেন। হতাশার শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে বর্তমান সরকার। চরম স্বৈরাচারী সরকার চলছে শুধু কলকাতা নয় গ্রামে সভা করতে গেলেও এভাবে পুলিশের হয়রানির মুখে পড়তে হয়। তৃণমূল সঠিক জবাবই পেয়েছে’।তবে কি অমিত শাহের আসন্ন সভা থেকেই লোকসভার দামামা বেজে যাবে? এই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “সম্ভাবনা রয়েছে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে ব্যাপক দুর্নীতি ও বঞ্চনার প্রতিবাদ হওয়া দরকার ছিল তাই এই সভা হচ্ছে। বিজেপির সভাস্থল নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
তবে গায়ের জোরে সভা আমরা করব না। প্রয়োজন হলে গ্রামের মতন শহরে জোর লাগাবো”।আজকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মেইল করে অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আইনকে রাস্তায় দাঁড় করিয়েছেন মমতা। নেতা বিধায়ক মন্ত্রীরা সবাই দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। বাড়িতে সার্চ হচ্ছে। প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে। তবুও উনি বলছেন প্রতিহিংসা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন উনি অথচ ওনার পা খারাপ করে দিয়েছেন ডাক্তাররা”। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয় বলে মন্তব্য দিলীপের। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে তৃণমূল! সম্প্রতি এই বিষয়ে চাপ বেড়েছে ঘাসফুলে। তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যে হইচই পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওপার থেকে ভোটার আনা হচ্ছে। উগ্রপন্থী আনা হচ্ছে। একবার প্রচারে একজন নায়ককেও নিয়ে আসা হয়েছিল। এটাই ওদের জেতার একমাত্র রাস্তা। তবে এমনটা আর চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।