রাতদিন ওয়েবডেস্ক : বাড়িতে পাখি পোষার শখ রয়েছে কি? পাখির মধ্যে টিয়া, ময়না, চন্দনা এগুলো ভালোবাসেন কি? তাহলে এখনই সাবধান হোন। কেননা কেউ জানতে পারলে লম্বা সময়ের জন্য যাবেন শ্রীঘরে।সম্প্রতি এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের এক বাসিন্দা। নাম হাসান মিঞা। পাহাড়ি ময়না পাখি পাচারের অভিযোগে হাসান মিঞাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। বিচারক দিব্যেন্দু দাস শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
অনাদায়ে আরও এক মাসের জেল।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসান মিঞাকে। ওই ব্যক্তির থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাতটি পাহাড়ি ময়না পাখি। এরপর বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। অবশেষে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালত অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, পাহাড়ি ময়না পাখি হল অন্যতম বিপন্ন প্রজাতির পাখি এবং এরা বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২-এর আওতায় পড়ে। এই পাখি ঘরে পোষা কিংবা কেনা-বেচা করা সম্পূর্ণভাবে আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ।