Type Here to Get Search Results !

স্কুলের ভেতরেই মদের ঠেক,অভিযোগে সারানেই পুলিশে

রাতদিন ওয়েবডেস্ক: সকালে পড়াশোনা রাতে হাসি শোনা যায় স্কুল বাড়ি থেকে। এমনটাই বর্ণনা দিলো কুলতলি গ্রামের বাসিন্দারা। সকালে যেই পবিত্র স্থানে বাচ্চারা পড়াশোনা করে বিকেল হলেই সেখানে মদ্যপান করে যুবকেরা। তাহলে  স্কুলের বাচ্চাগুলো এই যুবকদের দেখে কি শিখবে। এই চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনোরকম নড়চড় নেই তাদের। স্কুল বাড়ির দরজা জানলা কিছুই নেই। অঙ্গনওয়াড়ি হলেও নেই রান্না করার উনুন। সবই নাকি ভেঙ্গে ফেলেছে দুষ্কৃতীদের দল। স্কুল ঘরেই নাকি পড়ে থাকে মদের বোতল সহ বাকি সামগ্রী।বহুবার অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।স্থানীয়দের অভিযোগ, এমনই দুরবস্থা কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জ অঞ্চলের ১১৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। ছাদ আর ছাদ নেই।দরজা জানলা সেতো করবেই খুলে নিয়েছে লোকে।





ঘরেই পড়ে থাকে তাদের ব্যবহৃত জিনিস। কেউ কেউ আবার বমিও করে যায় পড়ুয়াদের বসার জায়গায়।এভাবেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেটি। বর্ষাকালে ছাদ থেকে পড়ে জল। শীতে কাঁপতে কাঁপতে পড়াশোনা চালায় পড়ুয়ারা। জলের কোনরকম ব্যাবস্থা নেই। দরজা জানলা নেই তাই গরু কুকুর সবাই ঢুকে আসে।শুধু বাচ্চারাই নয় সমস্যায় আছেন তাদের গর্ভবতী মায়েরাও। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হয় মায়েদের। এরম পরিবেশে পড়ুয়ারাও আসতে চাইছেন।আসছেন না দিদিমনিওরাও।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কল্পনা নস্কর জানান পর্যাপ্ত টিচার নেই। স্কুল ঘর ভাঙা  অবস্থায় কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের তাই পড়াতেও আসছেন না টিচাররা।তাঁদের বক্তব্য দ্রুত এর কোনো এক সুরাহা করা হোক নিত সমস্যায় পড়তে হবে সবাইকে। উন্নত পরিকাঠামো দরকার নির্দিষ্ট স্কুল বাড়ি দরকার। এই বিষয়টি জানানো হয়েছে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চয়েত প্রধান বিনিতা হালদার কেও। তিনি সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad