রাতদিন ওয়েবডেস্ক : সুড়ঙ্গের ভিতর ১৩ দিন কেটে গেল। এখনও ওই অন্ধকার কূপে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। আরও কয়েক ঘন্টা তাঁদেরকে থাকতে হবে ওখানেই। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখছে উদ্ধারকারী দল। খিচুড়ি, ভেজ পোলাওয়ের পর শুক্রবার সুড়ঙ্গের ভিতর পাঠানো হল রুটি-ডাল। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ফলও। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মুখের স্বাদ বদলও যে জরুরি, সেদিকে নজর দিয়েই খাবারের মেনু ঠিক করছে উদ্ধারকারী দল।তা কী কী খাবার পাঠানো হয়?শুক্রবার দুপুরের খাবার হিসেবে দেওয়া হয় রুটি, ডাল এবং মিক্স ভেজ। এর সঙ্গে দেওয়া হয় কমলালেবু, কলা এবং আপেল। এছাড়া আলাদা করে পাঠানো হয় নুন ও জলের পাউচ।খাবারের পাশাপাশি শরীরে জল ও গ্লুকোজের ভারসাম্য রাখাও বিশেষ জরুরি।
অন্ধকার সুড়ঙ্গে টানা ১৩ দিন থাকা মানে শরীরে ধীরে ধীরে কমছে সোডিয়াম। একই সাথে কমবে ক্যালসিয়ামও। তাই শরীরে যতোটা এর ভারসাম্য বজায় রাখা যায়, সেই দিকটাই খেয়াল রাখছে উদ্ধারকারী দল।তাই শরীরে নুন ও গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন ও জলের পাউচ পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে এদিন লুডোও পাঠানো হয়।প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর ভোরে সুড়ঙ্গে ধস নামে। সেদিন থেকেই ওই অন্ধকার কূপের ভিতর আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। প্রায় ৫০ মিটার গভীরে রয়েছে তারা। তাই তাঁদেরকে সেখান থেকে বের করার জন্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক টেকনলজির ব্যবহার করছে উদ্ধারকারী দল। ৪৬.৫ মিটার পর্যন্ত ইতিমধ্যেই পাইপ লাইন পৌঁছে গিয়েছে। আর কিছু পথ পেরলেই ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হবে। তাই তাঁর আগে তাঁদেরকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখছে উদ্ধারকারী দল।