রাতদিন ওয়েবডেস্ক : নানান রকম কাজের অজুহাত দেখিয়ে বিধানসভায় ঠিক মতন উপস্থিত থাকছেন না বিধায়করা। এ যেন স্কুলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপস্থিতির ছবি। এর আগে অবশ্য বিধানসভায় বিধায়কদের আশা না আশা নিয়ে উসমা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাবে প্রতিটি বৈঠকে বিধায়কদের শাসন করেছেন অভিভাবিকা। বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিতি আর তাদের ঘরে ঢোকার সময় রেকর্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্ত বিধায়কদের অ্যাটেন্ডেন্স সিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে সাইন আর সময় দিয়ে প্রত্যেক বিধায়কদের উপস্থিতি রেকর্ড করতে হবে।বিরোধীদলের নয় বরং শাসক দলের বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে এর আগে বেজায় চটে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন অধিবেশনের দিনগুলি বিশেষ করে নজর দিতে।
অধিবেশনের দিনগুলিতে অন্তত বিধায়করা যাতে উপস্থিত থাকেন সেই ব্যাপারে করজোড়ে তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মেগা অধিবেশনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন বিধানসভায় বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হবে। বিজেপি যেকোনো সময় যা ইচ্ছে তাই করতে পারে তাই উপস্থিতির ক্ষেত্রে যেন কোন গলদ না থাকে। মানুষের কথা এলাকার সমস্যা বিধানসভায় তুলে ধরুন বিধায়করা এমনটাই চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অথচ এতোকিছুর পরও সেই একই পরিস্থিতি। আজ শুক্রবার থেকে বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। দুটি বিল জিএসটি এবং বিধায়ক মন্ত্রীদের মাইনে বৃদ্ধি বিষয়ক বিল এই অধিবেশনে পেশ করবার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার ২৮শে নভেম্বর এই বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তার আগে দেখা গেল এদিনও বিধায়কদের উপস্থিতি সংখ্যায় গলদ। সব বিধায়ক এসে হাজির হননি অধিবেশনে। আর যা নিয়ে বেজায় চটলেন অধ্যক্ষ। মনে করা হচ্ছে, কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই বিধায়করা। অবশ্য তারা কারা, সেই তালিকা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।