31 তারিখ ছিল সব্যসাচীর জন্মদিন।সেই দিনই সব্যসাচীকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।কে জানত এক দিনেই তোলপাড় হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী।
ঠিক টানা ১৯ দিনের লড়াই। ছেলেটা হাসপাতালেই বসেছিল।শুক্রবার সব্যসাচী লিখেছিলেন,"হাত নাড়িয়েছেন ঐন্দ্রিলা…"। প্রার্থনা করেছিল গোটা বাংলায় অভিনেত্রীর সুস্থতার জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না সবাইকে কাঁদিয়ে দিয়ে চলে গেলেন এই অভিনেত্রী। রবিবার হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১২ টা ৫৯ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঐন্দ্রিলার পুরো জীবন যুদ্ধে তার পাশে ছিলেন সব্যসাচী। ২০২১ সালে অভিনেত্রী যখন আবার ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে প্রথমে তিনি চিকিৎসা করাতে রাজি হচ্ছিলেন না, কিন্তু সব্যসাচীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাথে ছিলেন তার পরিবারও। তারপর অপারেশনেও তার সাথে ছিলেন সব্যসাচী। ফের এক নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঠিক একদিন আগে ৩১ শে অক্টোবর ছিল সব্যসাচীর জন্মদিন। সেই বন্ধুর জন্যই ঐন্দ্রিলা ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করেছিলেন।তাঁকে ‘Happy Birthday’ লিখে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।
ঠিক এক রাতের মধ্যেই সব্যসাচীর গোটা দুনিয়া ওলট-পালট হয়ে যায়। হাসপাতালে ১৯ দিন ধরে লড়াই করেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে পা রাখেন ঐন্দ্রিলা। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দর্শকের মন জয় করতে থাকেন ঐন্দ্রিলা।এরপর স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’, সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’-তে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল।
২০১৫ সালে নিজের জন্মদিনের দিন অভিনেত্রী জানতে পেরেছিলেন তিনি ব্যোন ম্যারো ক্যানসারে আক্রান্ত। এরপর থেকে তার জীবন যুদ্ধ শুরু হয়। দিল্লিতে চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকের পর অস্ত্রোপচার করা হয় অভিনেত্রীর।ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু তা কত বুধবার তার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছিল।পুরোপুরি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানান শনিবার রাতে তার দশবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। অভিনেত্রীর জন্য এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।