রাতদিন ওয়েবডেস্ক : যাদবপুর বিশ্বিদ্যালয়ে জুড়লো নয়া পালক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের গবেষণায় আবিষ্কৃত একটি যন্ত্র এবার দিশা দেখাবে, হঠাৎ করে অসুস্থ্য হওয়া ব্যক্তিদের। অনেকসময়ই এই ঘটনা সামনে আসে যে বাড়িতে কোনো একজন ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তাঁকে হাসপতালে নিয়ে যাওয়ার মত কোনও ব্যক্তিই বাড়িতে নেই। পরে ওই রোগীর অবস্থা আরও সংকটপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই মুহূর্তে বিপদের সময় নির্ভুল তথ্য দেবে এই যন্ত্রটি। ইন্টেলিজেন্ট সিকিওর হেলথ মনিটরিং ডিভাইস ২৪ নামের এই যন্ত্রটির তথ্য জানানোর পেছনে কাজ করবে মেশিন লার্নিং পদ্ধতি। এই বিষয়ের অন্যতম গবেষক সায়ন ত্রিপাঠী এবং ঝিলম জানা জানিয়েছেন, এই যন্ত্রটিকে হাতের কব্জিতে বেঁধে রাখলেই যে কোনো ব্যক্তি তার অসুস্থতার সময় জানতে পারবেন আসল শারীরিক সমস্যাটা কি? । এরপরেই ওই রোগের চিকিৎসার জন্য যে কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে একটি অ্যাপে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন রোগীরা। ওই অ্যাপে চিকিৎসকদের লিস্ট দেওয়া থাকবে। চিকিৎসকতার দ্রুত চিকিৎসা করতে পারবেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন আমেরিকান হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কিছু বিষয় যেমন হৃদস্পন্দন রক্তচাপ নারীর গতি ইত্যাদি জানা যাবে ওই যন্ত্রটির মাধ্যমে। এই গবেষণায় সায়ন , ঝিলমের সঙ্গে ছিলেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষক জয়দেব ভৌমিক। সহায়কারী হিসেবে ছিলেন শিক্ষক চিন্ময় ঘরাই ও আশফাক আলী। গবেষণার আর্থিক সহায়তা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনস ইনোভেশন কাউন্সিল। সায়ন বলেন, ‘‘আমরা মূলত গ্রামাঞ্চলে, যেখানে চিকিৎসক এবং রোগীর অনুপাতে অনেক ফারাক, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এই যন্ত্র তৈরির গবেষণা শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যে আমরা এর স্বত্ব পেয়ে গিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যেই ন্যানো ওয়াচ মডেলের আদলে বাজারে আসবে এই যন্ত্র। দাম পড়বে তিন হাজার টাকার মতো।’’ তিনি আরও বলেন এই যন্ত্রের তথ্য রোগী ও চিকিৎসক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাক্তির কাছে যাওয়াটাও সম্ভব নয়, কারণ অ্যাপ ব্যবহার করার আগে তাঁকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।