রাতদিন ওয়েবডেস্ক : রাজ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেলের সম্ভার। তাই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ক্ষরণ কার্য চালানোর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে। রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার জমিতে খননের অনুমতি চেয়ে রাজ্যের কাছে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনোও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম সদর মেলেনি বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরি। সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন রানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার রাজ্যে পেট্রোলিয়াম শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তরে গোটা প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। আসলে পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল জাতীয় বিষয়গুলি বিবেচ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাভুক্ত সম্পত্তি হিসেবে। তবে তার আগে কেন্দ্র কে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নামক একটি চিঠি পাঠাতে হয় রাজ্যের কাছে খনন কার্য চালানোর জন্য।
এখনো পর্যন্ত এই ধরনের প্রায় ১৯ টি চিঠি গিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। তার মধ্যে ১৪ টি গিয়েছে ওএনজিসি থেকে এবং তিনটি চিঠি সরাসরি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছ থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে গিয়েছে। ২০২০ সালের অশোকনগরে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি গিয়েছিল তবে চার বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি । কেন্দ্রীয় পেট্রোলের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বঙ্গে প্রায় ৯৯.০৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা খনিজ তেলে সমৃদ্ধ । তার মধ্যে ৫.৮৮ পর্ব কিলোমিটার এলাকা অশোকনগরেই খুঁজে পায় ওএনজিসি। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে রানাঘাট ও কাঁকপুলের মত এলাকা । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বিষয়ে আরো জানান যদি পশ্চিমবঙ্গের ওই এলাকাগুলি থেকে ক্ষণিক তেল তুলুন করার কাজ শুরু হয় তবে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে তেমনি পাশাপাশি রাজ্যের আয় হতে পারে ৮১ ২৬ কোটি টাকা প্রতি বছরে। বোম উত্তোলনের জন্য ইতিমধ্যে ১০৪৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।