রাতদিন ওয়েবডেস্ক : চিরকাল ধরে শিক্ষক ছাত্রের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর এবং পবিত্র সম্পর্ক বলেই ধরা হয়। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে সেই সম্পর্কের অর্থ যেন বদলে যাচ্ছে। এক স্কুল ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত এক শিক্ষক অবশেষে শুক্রবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের মহিলা থানার পুলিশ।
সেবক রোডের নার্সিংহোম থেকে ছাড়া পেতেই তাকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ এরপর তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যদিও ওই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর গত ৩ জানুয়ারি বাড়িতে টিউশন পড়ানোর নামে ডেকে আনা হয় ওই ছাত্রীকে এরপর তার উপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ। শক্তিগড় এলাকার একটি হাই স্কুলের শিক্ষক ওই অভিযুক্ত সোমবার রাতেই ওই ঘটনায় পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ছাত্রীর তরফ থেকে।
ওই ছাত্রী নিজে এই ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানিয়ে অভিযোগ করেন থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই শিক্ষক সেবক রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন রবিবার ছাত্রীর পরিবার ও কয়েকজন প্রতিবেশী শিক্ষকের বাড়িতেও যান। সেই সময় শিক্ষক নাকে চোট পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।
পাশাপাশি ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর পরিবারের লোকজন। যদিও আদালতে যাওয়ার পথে ওই শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তার সাথে চক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।