Type Here to Get Search Results !

CBI: মুখ্য ব্যক্তির হদিসে সিবিআই, ভোলে ব্যোম, শিবশম্ভুর পর আরও ১৫টি চালকল গোয়েন্দাদের নজরে

 


রাতদিন ওয়েবডেস্কঃ অনুব্রতকে গ্রেফতারের পর এখনও পর্যন্ত সিবিআই ভোলে ব্যোম এবং শিবশম্ভু-দুটি রাইসমিলে অভিযান চালিয়েছে। এই দুই চালকল থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। পাশপাশি ভোলে ব্যোম রাইস মিলে একাধিক দামী গাড়ি চোখে পড়ে CBI-এর।

তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, যতগুলো রাইস মিলের সন্ধান তারা পেয়েছে সবের পেছনেই কেলেঙ্কারি রয়েছে। তাহলে কি গরু পাচারের কালো টাকা চালকলের মাধ্যমে সাদা হত? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। 

কেষ্ট-কন্যা সুকন্যার নামে ভোলে ব্যোম রাইস মিল এবং অনুব্রতর জামাইবাবু কমলাকান্তের নামে শিব শম্ভু রাইস মিলে ইতিমধ্যেই হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখান থেকে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে। 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বীরভূমে ৮২টি চালকলের মধ্যে ১৫টি নিয়ে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে, কোনোটারই মালিক নন অনুব্রত। এই রাইস মিলগুলোর মালিকানা জানতে তথ্যের খোঁজে তৎপর সিবিআই। এর আগেও ভোলে ব্যোম রাইস মিলে যে গাড়িগুলো ছিল তারও কোনটার মালিক ছিলেন না কেষ্ট। পরে জানা যায় ওই চালকলের নামে কয়েক কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল।

বীরভূমের বেশ কয়েকটি জায়গায় (সিউড়ি, মির্জাপুর, ছোট সংড়া) মল্লারপুর এলাকার কয়েকটি রাইস মিল সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় রয়েছে। এছাড়া লাভপুরের তিনটি, আহমেদপুরে একই ব্যক্তির নামে চারটি, পুরন্দরপুরেও এক ব্যক্তির নামে তিনটি চালকল তদন্তকারী সংস্থার রেডারে রয়েছে। আবার এক দম্পতির নামে থাকা একটি রাইস মিল নিয়েও সন্দেহ রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তবে জানা গেছে, বেশিরভাগ চলকলগুলির মালিকানা যৌথ। এই চলকলগুলিতে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্যও প্রক্রিয়াকরণ হত বলে জানা গেছে।

তবে, তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন উঠছে, খাতায়-কলমে যাঁদের মালিকানা দেখানো হচ্ছে, তাঁরাই কি আসল মালিক? না এর পেছনে অন্য কেউ আছে? এসব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে CBI।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad