কখনও আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল
মিঠুন চক্রবর্তী যখন চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই শহরে পৌঁছেছিলেন, তখন তার আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ ছিল। মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, ‘অনেকবার এমন হয়েছে যে তাকে কখনো বাগানে আবার কখনো হোস্টেলের বাইরে ঘুমাতে হয়েছে। আমার এক বন্ধু আমাকে জিমখানা ক্লাবের সদস্যপদ দিয়েছিল যাতে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম ব্যবহার করতে পারি। সকালে ফ্রেশ হয়েই কাজ খুঁজতে যেতাম। এমনই ছিল আমার দিনের শুরু, তা ছাড়া কোথা থেকে খাবার পাব তাও জানতাম না। সেবারের জন্য আমার মনে হয়েছিল যে আমি কিছুই করতে পারব না এবং আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলাম। তবে তরুণদের এ ধরনের চিন্তা না করার পরামর্শ দিতে গিয়ে মিঠুন বলেন, ‘ জীবনে কঠিন সময় আসবেই, কিন্তু সাহস হারালে চলবে না।’
এভাবেই প্রথম ছবি পাওয়া গেল
১৯৭৫-৭৬ যুগের সংগ্রাম প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘ আমি জানতাম যে আমি ভালো নাচতে পারি, ভালো ফাইটিং, মার্শাল আর্টও করতে পারি। আমি সবসময় ভাবতাম যে আমার এমন কিছু করা উচিত যাতে কেউ আমার গাত্রবর্ণের দিকে নজর না দেয়। এটি ঘটেছিল যে মৃণাল সেন আমাকে ‘মৃগয়া’ ছবিতে প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং এটি ছিলো উপজাতীয় নায়ক।’
‘যেটি আমার জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত ছিল। এই ছবিটি জাতীয় পুরস্কারও পায়। তারপরে আমি চলচ্চিত্র পেতে শুরু করি, লোকেরা আমার নাচের ধরন এবং অ্যাকশন পছন্দ করেছিল। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং আমি বলতে পারি যে আমি কোন গডফাদার ছাড়াই সাফল্য অর্জন করেছি।’
নৃত্য তারকা মিঠুন চক্রবর্তী ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এ স্ট্রিট ড্যান্সার জিমির ভূমিকায় অভিনয় করে অসাধারণ জনপ্রিয়তা পান। অভিনয়ের পাশাপাশি হসপিটালিটি খাতেও সফল মোনার্ক গ্রুপের মালিক মিঠুন।
এখন মালিকের মূল্য ২৮২ কোটি টাকা
মিঠুন চক্রবর্তীর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ২৮২ কোটি টাকা। তিনি এখনও চলচ্চিত্র জগতে সক্রিয়। মিঠুন চক্রবর্তী ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমার গ্র্যান্ড মাস্টার এবং সম্মানের সাথে তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন।