উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নতুন সভাপতি হলেন ভূপেন্দ্র সিং চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন রাজ্যে দলের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি নিঃসন্দেহে যোগীরাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নতুন সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কেন এই পরিবর্তনকে বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে? আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে এখন থেকেই পাখির চোখ করে এগতে চাইছে দল। গত বছরের কৃষক আন্দোলনের প্রভাব গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপি। যদিও এবছরই বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখতে সমস্যা হয়নি। তবুও লোকসভার জন্য আরও সাবধান থাকতেই চাইছে তারা। আর তাই ওবিসি নেতা স্বতন্ত্র দেবসিংকে সরিয়ে এক জাঠ নেতাকে শীর্ষে বসানোর সিদ্ধান্ত।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ২০টি লোকসভা কেন্দ্রে বিরাট প্রভাব জাঠ সম্প্রদায়ের। ওই অঞ্চলে সমাজবাদী পার্টি-রাষ্ট্রীয় লোক দলের জোটের প্রভাবকে ক্ষুণ্ণ করতে বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে 'মাস্টারস্ট্রোক' বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বুধবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ঘনিষ্ঠ উত্তরপ্রদেশের ওই মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল দিল্লিতে। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবারই এই ঘোষণা করা হল দলের তরফে।এরই পাশাপাশি ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি করা হয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যকে। দলের জাতীয় সহসভাপতি সৌদান সিংকে হিমাচলপ্রদেশের নির্বাচনী প্রধান করা হয়েছে। পাশাপাশি দেবেন্দ্র সিং রানাকে হিমাচলপ্রদেশের যুগ্ম নির্বাচনী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।